সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগে ১৯৯৭ শালীর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক ধারায় বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (CTD)। তিনটি পৃথক ধারায় পাঁচ বছর করে মোট 15 বছর জেল হয়েছে মুম্বাই হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী, রাষ্ট্রপুঞ্জ ঘোষিত এই জঙ্গীর।সেইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল এর মেয়াদ বাড়বে বলে জানিয়েছে বিচারক এজাজ আহমেদ বুট্টর।
আদালতে দাঁড়িয়ে লাগদি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন। লস্কার নেতার দাবি, তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী গত শনিবার পাক পাঞ্জাব প্রদেশের অভিযান চালিয়ে জাকিউর রহমান লাখভীকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট। ২০০৮ এ ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল চক্রান্তকারী হিসেবে লাখভীকে অভিযুক্ত করেছে প্রাক আদালত।মুম্বাই হামলার একমাত্র জীবিত জঙ্গী আজমাল কাসভ পরে জেলায় জানায়, তার পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে টপ দিয়ে তাকে মুম্বাই হামলার জন্য পাঠায় জাকিউর রহমান লাখভী। ভারতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফরবাদের কাছে লস্করের এক জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে পাকবাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল লাখভীকে। তারপর থেকে জেরা চলছে।তবে ২০১৫ তে কৃষ্ণপদ হাইকোর্টের নির্দেশে তাকে জামিন দিতে হয়। তারপর থেকে এই পাঁচ বছর জেলের বাইরে কাটিয়েছে এই জঙ্গী।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারলে FATF এর গ্রে তালিকাভুক্ত থাকা পাকিস্তান যেকোনো সময় ব্লাক লিস্ট হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য সম্পূর্ণ বন্ধ হলে, আর্থিকভাবে আরো চাপে পড়ে যাবে পাকিস্তান। তাই পাকিস্তানের এই তৎপরতা লোক দেখানো বলে মনে করছে বিশ্ব রাজনীতি মহলের একাংশ। লাখভীর গ্রেপ্তারি পাকিস্তানের তরফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করে আমেরিকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন